মিয়ানমারের বাণিজ্যিক রাজধানী থিলাওয়া বন্দরে পৌঁছানো মালয়েশিয়ার ওই জাহাজে খাবার, ওষুধ ও পোষাক রয়েছে। দেশটির সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদল জাহাজে মালয়শিয়ান কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
এ সময় জাহাজ নোঙ্গর এলাকায় জাতীয় পতাকা হাতে বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ও বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। অনেকের হাতে রোহিঙ্গাবিরোধী পোস্টারও দেখা যায়। মিয়ানমারের ভিক্ষু ইউনিয়নের নেতা থুসেইট্টা বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, আমরা তাদেরকে বলতে চাই যে, আমাদের এখানে কোনো রোহিঙ্গা নেই।
কয়েক প্রজন্ম ধরে বসবাস করে এলেও লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিমকে নাগরিকত্ব দেয়নি মিয়ানমার। দেশটির কট্টরপন্থী বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা মনে করেন, রোহিঙ্গা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা অবৈধ অভিবাসী। গত বছরের অক্টোবরে মিয়ানমার সীমান্তে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর চেকপোস্টে সন্ত্রাসী হামলায় ৯ পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর পর রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। জাতিসংঘ রাখাইনে সেনাবাহিনীর অভিযানকে ‘রোহিঙ্গা নিধন’র চেষ্টা বলে সতর্ক করে দিয়েছে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কঠোর অভিযানের মুখে ৬০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়েছে। রোহিঙ্গারা বলছেন, রাখাইনে সেনাবাহিনীর বর্বর নির্যাতন, ধর্ষণ ও গণহত্যার শিকার হচ্ছেন তারা। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের অভিযানের তীব্র প্রতিবাদ দেখা গেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক জোট এশিয়ানভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের কেঠোর সমালোচনা করছেন।
এদিকে, মালয়েশিয়ার ত্রাণবাহী জাহাজকে রাখাইনের রাজধানী সিট্টওয়ে’তে প্রাথমিকভাবে নোঙ্গর করতে দেয়নি মিয়ানমার। পরে সেটি ইয়াঙ্গুনে পৌঁছেছে। সুত্র: জাগো নিউজ
পাঠকের মতামত: